অভিজ্ঞতা না থাকলেও সিভি কাভার লেটার লেখার নিয়ম
টপিক দেখে হয়তো অনেকেই বোকা বনে গেছেন! বোকা বনে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ অভিজ্ঞতা ছাড়া আসলে কোনো সিভি / কাভার লেটার রেডি করাই সম্ভব নয়। যাইহোক! আমরা আজ আমাদের এই নতুন আর্টিকেলটিকে সাজিয়েছি দু’টো বিষয় মাথায় রেখে। এক…কিভাবে অভিজ্ঞতা কাভার লেটার সাজাবেন এবং সাজানোর পর প্রয়োজনী দক্ষতাগুলি কিভাবে দ্রুত অর্জন করবেন। যারা বিষয়টিকে যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং মনে করছেন তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ রইলো দয়া করে আমাদের পুরো আর্টিকেলটির সাথে থাকবেন।
সূচিপত্র
- টিউটোরিয়াল বা অনলাইন কোর্স করুন
- কোর্সের বিষয়টি যেভাবে সিভিতে যোগ করবেন
- কোর্সের সার্টিফিকেট যোগ করতে পারেন
- অনলাইন ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন
- স্বেচ্ছাসেবক প্রোগ্রামে যোগ দিন
- সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকুন
টিউটোরিয়াল বা অনলাইন কোর্স করুন ; কাভার লেটার
ধরুণ আপনি যেকোনো সেক্টরের উপর অনলাইন কোর্স করলেন এবং সেই কোর্সটির আউট নলেজকে স্কিল হিসাবে সিভিতে এড করতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে কি করবেন? এক্ষেত্রে যেটি করতে হবে সেটি হলো শুরুতে ওয়েবিনার, টিউটোরিয়াল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে তার আগে সার্টিফিকেশনের ব্যাপারটিও নিশ্চিত করা জরুরি৷
যখন আপনি এসব অনলাইন কোর্সের বিষয়টি সিভিতে এড করবেন তখন নিয়োগকর্তার মাথায আপনাকে নিয়ে পজেটিভ থিংকিং কাজ করবে। সে বুঝতে সক্ষম হবে আপনার কাছে নতুন কিছু শেখার গুরুত্ব ঠিক কতখানি। আর যদি আপনার নিয়োগকর্তাও নতুনদের সুযোগ দিতে চায় সেক্ষেত্রে নতুন কাজ শেখার প্রতি আপনার এই আগ্রহকে তারা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে এবং আপনিও খুব দ্রুত পছন্দের জবটিতে ইন্টার্ন এমপ্লয়ি হিসাবে এনরোল করতে পারবেন।
কোর্সের বিষয়টি যেভাবে সিভিতে যোগ করবেন
আপনি যে ওয়েবিনার, টিউটোরিয়াল বা অনলাইন কোর্স শেষ করেছেন তা সঠিকভাবে সিভিতে উপস্থাপন করা জরুরি। এক্ষেত্রে নিচের পয়েন্টগুলি ফলো করতে পারেন:
- আপনি যদি সিভিতে কোনো ডেডিকেটেড অংশ রাখেন সেখানে ‘টিউটোরিয়াল এবং ওয়েবিনার’ শিরোনামে নতুন একটি সাব-পয়েন্ট যোগ করতে পারেন। সেখানে কোর্স বা ওয়েবিনার শেষ করার জন্য আপনি কত ঘন্টা সময় ইনভেস্ট করেছেন তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন।
- এবারে সিভিতে অর্জিত দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত কোর্সগুলি হাইলাইট করার চেষ্টা করুন৷ সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনার জব ডেসক্রিপশনের সাথে আপনার শেষ করা কোর্সের টপিক মিলে যায়। এক্ষেত্রে এক্ষেত্রে এই ধরণের ম্যাচিং কোর্স বা টিউটোরিয়ালের সাথে তালিকাভুক্ত প্রতিটি দক্ষতাকে ট্যাগ করতে পারেন।
- সিভিতে থাকা ডেডিকেটেড অংশে যারা “পারসোনাল” শিরোনামে আরো একটি অংশ রাখার কথা ভাবছেন তারা সম্পূর্ণ করা ওয়েবিনার এবং টিউটোরিয়ালগুলিতে নিজের সাধারণ আগ্রহের দিকটুকু নির্দেশ করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরতে পারেন। এই যেমন কেনো আপনি এই কোর্সটি করেছেন, কোর্সটি করার সময় আপনি কি কি টার্গেট ফিল-আপ করার কথা ভেবেছেন বা কোর্স-সম্পর্কিত যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে দিতে পারেন।
কোর্সের সার্টিফিকেট যোগ করতে পারেন
আপনার সম্ভাব্য কোম্পানি বা নিয়োগকারীকে আপনার দক্ষতার প্রতি বা আপনার সিভির প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী করে তুলতে সিভিতে নির্দিষ্ট কোর্সের সার্টিফিকেট যোগ করতে পারেন। যদিও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ারকে উন্নত করতে পারার গুরুত্ব অনেক! তবে এই উন্নতির দিকটা সকলকে জানান দিতে দরকার সার্টিফিকেশনের বিষয় বা সার্টিফিকেট সংগ্রহ।
অনলাইন ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন
কোডিং, সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইনের মতো যেকোনো অনলাইন কোর্স করার ক্ষেত্রে আপনি ওডেমির সাহায্য নিতে পারেন। আর যারা বিভিন্ন এস্থেটিক অর্থ্যাৎ শিল্পকলা রিলেটেড স্কিল ডেভলপ করতে চান তারা স্কিলশেয়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি ফিউচার লার্ন” নামের আরো একটি অনলাইন কোর্স রিলেটেড প্ল্যাটফর্ম আছে। যা সবার জন্য পুরোপুরি ফ্রি। আপনি চাইলে সেই প্ল্যাটফর্মটিও ব্যবহার করতে পারেন।
স্বেচ্ছাসেবক প্রোগ্রামে যোগ দিন
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জবের ক্ষেত্রে লিডারশিপের ব্যাপারটিকে বেশ গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এই দক্ষতাটি চাইলে আপনি সিভিতে এবং কাভার লেটার এ রাখতে পারেন। আর যদি অভিজ্ঞতা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনার আঞ্চলিক কমিউনিটি সেন্টার বা সংস্থার সাথে কন্টাক্ট রাখতে পারেন। এছাড়াও যারা এখনো কলেজে বা বিশ্বিবদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তারা বিভিন্ন গ্রুপ ওয়ার্কে যোগ দিয়ে লিডারশিপ শেখার প্রতি বাড়তি যত্নশীল হতে পারেন৷ মনে রাখবেন, স্বেচ্ছাসেবক প্রোগ্রামগুলি কিন্তু পরবর্তীতে একেক জনকে এন্ট্রি-লেভেল সোশ্যাল ওয়ার্ক কাজের জন্য পারফেক্ট করে গড়ে তুলে।
সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকুন
সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি দ্রুত একজন নিয়োগকারীর কাছে নিজের দক্ষতা তুলে ধরতে পারবেন। যাদের নতুন এবং সৃজনশীল কোনো কিছু আবিষ্কার করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা রয়েছে তারা খুব দ্রুত নিয়োগকারীর মনোযোগ পেতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, মার্কেটিং টেকনিক নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি, প্রোগ্রামিং, যেকোনো ধরণের ডিজাইনিংয়ে মনোযোগ দিতে পারেন। মনে রাখবেন এভাবে নিজেকে সৃজনশীল স্কিলে গড়ে তুলতে পারলে সিভি জমা দিয়ে আপনাকে চাকরিও করতে হবে না। বরং নিজেই নিজের ক্যারিয়ার গোছাতে পারবেন উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করে৷
ইতি কথা
উপরোক্ত টেকনিকগুলি ছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নিজের পয়েন্ট বাড়াতে পারেন। যেমন যেকোনো স্কিলফুল পোস্ট, লিংকডিন আইডিটাকে সাজানো, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাজ শেয়ার করে…সকলে নজরে আসার চেষ্টা করতে পারেন। আর এভাবে আপনি খুব দ্রুত চাকরি + চাকরিতে প্রয়োজনীয় রেফারেন্সও পেয়ে যাবেন।
আপনাদের যদি কাভার লেটার বা জীবনবৃত্তান্ত ফরমেট নিয়ে কনফিউশান কাজ করে সেক্ষেত্রে সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কারণ আমরা আপনার চাকরি লাভের মিশনকে সহজ করতে রেডিমেড কাভার লেটার এর ব্যবস্থা করবো। বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি ক্লিয়ার হতে এখানে ক্লিক করুন এবং জেনে নিন কাভার লেটার এর বিস্তারিত তথ্য। আশা করি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।